সাঘাটায় বন্যায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

জয়নুল আবেদীন,সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
ঘনঘন ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটা থানার পূর্ব পার্শ্বের পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যমুনার শাখা নদীর একটি বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জানা যায়,গত কয়েক দিন ধরে ঘনঘন ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশ প্লাবিত হয়েছে। ভরতখালী ইউনিয়নের শ্বশান ঘাট এলাকয় বাঁধ ভেঙ্গে বরমতাইড়, উত্তর উল্যা ও দক্ষিণ উল্যা এলাকার লোকারয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া হলদিয়া, ঘুড়িদহ ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নে ১৫টি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি কৃষকের জমির পাট,কাউন,তীল ও শাকসবজি সহ বর্ষাকালীন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকজন পরিবারের শিশু,বয়স্ক লোক ও গবাদি পশু-পাখি নিয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছে । এসব মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল, খামার পবনতাইড়। হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বেড়া, গাড়ামারা, দীঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী, গুয়াাবাডী, কালুরপাড়া, কানাইপাড়া, কুমারপাড়া এবং জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কাঠুর, থৈকরের পাড়া ও পূর্ব আমদির পাড়া সহ কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে প্লাবিত ওইসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অঘোষিত ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন গবাদি পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এসব এলাকার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের মধ্যে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন গবাদি পশুর মালিকরা। সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি মানুষ এবং গো-খাদ্যের সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরুরি ভাবে এসব এলাকায় বন্যার্ত মানুষ ও গো-খাদ্য ব্যবস্থা করা দরকার।
এ প্রসঙ্গে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, বন্যার পানি আসছে শুরু হয়েছে জেনে নৌকা যোগে বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট চিঠি দিয়েছি। এখন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা নিরূপন করা হবে।