বগুড়ায় জোড়া খুনের রহস্য ফাঁস: প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানেই নৃশংস হত্যা


বগুড়ার আলোচিত জোড়া হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জেরে ঘটেছে এই হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত সৈকত হাসান (১৭)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরের খান্দার এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। একই দিন দুপুরে ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু। আটক সৈকত ওই এলাকার সোহেল ইসলামের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত হত্যার দায় স্বীকার করেছে। প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন লাইলী খাতুন (৭০) ও তার নাতবউ হাবিবা বেগম (২২)। একই ঘটনায় আহত হন ১৬ বছর বয়সী বন্যা আক্তার।
নিহত পরিবারের সদস্যরা জানান, সম্প্রতি এসএসসি পাস করা বন্যাকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত সৈকত। পরিবার বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় এলাকায় শালিস-বৈঠক হয় এবং সেখানে বন্যাকে আর উত্যক্ত করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় সৈকত। তবে ঘটনার তিন মাস পর সে প্রতিশোধ নেয়।
বুধবার রাতে বন্যার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে সৈকত। এসময় বাধা দিতে এলে হাবিবা বেগম ও পরে লাইলী খাতুনকে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে সে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সৈকত।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। পরে তার দেওয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানই এ নৃশংস হত্যার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।