হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে অভিনেতা ইমরানের সাংবাদিক সম্মেলন

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় অভিনেতা এমরান হাসো পরিবারের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা পরবর্তী হুমকির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে বিসমিল্লাহ হোটেল এ সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান হাসো বলেন, আমি একজন ছাত্র ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। সর্বাদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে আমি রাজধানীতে স্বশরীরে অবদান রাখি। এবারের বন্যা মৌসুমে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে আসছি। অথচ, আমার নিজ এলাকা গ্রামের বাড়িতে এসে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলা পরবর্তী বিচার চেয়ে পত্নীতলা থানায় মামলা করি। কিন্তু অপরাধী এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আটক হন নাই।
তিনি আরও বলেন, অপরাধী যে রাজনৈতিক দলের সমর্থক হউক না কেন? সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
ভুক্তভোগী এমরান হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে একটি উপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে ডাক্তার সবিউর রহমান চাকরি করে। অভিযুক্ত মজিদুল ইসলাম, হেলাল, কারাম সহ কয়েকজন ব্যক্তি তারা তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তখন বিষয়টি আমার বাবাকে জানায় ডাক্তার সবিউর। আমার বাবা তখন তাদের সাথে কথা বললে তারা আমার বাবার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। পরেরদিন আবারও আমার বাবাকে বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে গালিগালাজ ও মারধর করলে আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত মজিদুল বলেন আমি বিএনপি করি তোদের সবার মাথা কাটবো বলে হাসুয়া দিয়ে আমার বাবাকে আঘাত করলে আমি সেটা আটকায় তখন আমার হাত কেটে যায়। তখন তারা আমার খালাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে ও অনেকেই আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে স্হানীয় লোকজন তখন এগিয়ে আসলে আমাদের রক্ষা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে থানা অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় শিহাড়া ইউনিয়নের মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে এমরান হোসেনের বাবাকে বাসা থেকে আমন্ত বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকলে বাজারে স্থানীয়রা এমরান হোসেন বিষয়টা ফোন দিয়ে জানায়, এমরান বাজারে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলে তারা এমরান তার বাবা ও খালাকে হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এমরান ও তার পরিবারকে যেভাবে মারা হয়েছে এইটা ঠিক হয়নি। পুরোটাই তারা অন্যায় ভাবে মেরেছে।
অভিযুক্ত মফিদুলের সাথে কথা হলে, হাসুয়া দিয়ে এমরান ও তার পরিবারের জঘম করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ঘটনাটি এড়িয়ে যায়।
পত্নীতলা থানার ওসি (তদন্ত) আবু সালেহ বলেন, আমি গতকাল থানায় যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন।