মহিমাগঞ্জের গোলকিপার হাসানের নৈপূণ্যে রংপুরের জাতীয় গোল্ডকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার


বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার। বালিকা বিভাগে অংশ নেয় রাজশাহী ও ময়মনসিংহ। যেখানে ৩-০ ব্যবধানে জিতে যায় রাজশাহী। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টের আসরের বালক-বালিকা বিভাগের ফাইনাল। দিনটির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত তৈরি করে বালক বিভাগের শিরোপা লড়াই, যেখানে রংপুর বিভাগ টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দেয় ময়মনসিংহ বিভাগকে।
প্রথম থেকেই দুই দলের মধ্যে দেখা যায় আক্রমণাত্মক খেলার প্রবণতা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে মোজাম্মেল হকের গোলে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ। রংপুরের খেলোয়াড়রা প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও তা গোলে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল ময়মনসিংহ। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে মেহেদী হাসান আরও একটি গোল করে ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন। তখন অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন শিরোপা বুঝি ময়মনসিংহের দখলেই যাচ্ছে। তবে খেলার শেষ পাঁচ মিনিটে রংপুরের অধিনায়ক রিয়াদ যেন পুরো দৃশ্যপট বদলে দেন। একাই দুইটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
২-২ গোলে সমতা থাকার ফলে খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। সেখানে রংপুর বিভাগের হয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান গোলরক্ষক মহিমাগঞ্জের কৃতী সন্তান। তাঁর অভাবনীয় সেভে একাধিক শট রক্ষা পায়, যার ফলে ৪-৩ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় রংপুর। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনিই।
রংপুর বিভাগ এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবলে শিরোপা জিতল। এর আগে ২০১৮ সালের প্রথম আসরেও তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোস্তফা জামান।
এই প্রতিযোগিতা শুধু নতুন প্রতিভা আবিষ্কার নয়, দেশের তরুণ ফুটবলারদের আত্মপ্রকাশের অন্যতম মঞ্চ হয়ে উঠেছে, যার উজ্জ্বল প্রমাণ রংপুরের তরুণ গোলরক্ষক।