সাঘাটা-সোনাতলা জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

জয়নুল আবেদীন,সাঘাটা(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় সাঘাটা,জুমারবাড়ী,সোনাতলা জেলা মহাসড়ক (জেড ৫৩৬) দৈর্ঘ্য ১৬৭৭ কি:মি: সড়কের প্রশস্তকরণ কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে বালুর পরিবর্তে ধুলা-দলা যুক্ত মাটি, পরিমাণে কম ও নিম্নমানে্র খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসি সড়কের কাজে অনিয়মের বিষয়ে বাঁধা-নিষেধ করে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন জেলা শহরের সাঙ্গে সাঘাটা উপজেলার যোগাযোগ সহজতর করার জন্য সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন প্রচেষ্টা চালিয়ে সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা তিন মাথা মোড় হতে ডাকাবাংলা বাজার পর্যন্ত সাঘাটা,জুমারবাড়ী,সোনাতলা জেলা মহাসড়ক (জেড ৫৩৬) দৈর্ঘ্য ১৬৭৭ কি:মি: সড়কের প্রশস্তকরণ নামে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) একটি প্রকল্প পাস করান। উক্ত প্রকল্পের মধ্যে সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা তিন মাথামোড় হতে বারোকোনা বাজার পর্যন্ত ৭ কি:মি: সড়কের প্রশস্তকরণের জন্য ২০ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ ধরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করেন ।
এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত জেলা মহাসড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদারের লোকজন সড়কের বর্ধিত স্থানে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করেছে । মাটির উপরে আবার আকারে বড় নিম্নমানের ইটের খোয়া ও পরিমানেও কম খোয়া ফেলে দায়সারা ভাবে প্রশস্তকরণ কাজ করছেন। এছাড়া সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে ঠিকাদারের মনগড়াভাবে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঝাড়াবর্ষা তিনমাথা হতে হাঁপানিয়া চৌমাথা মোড় পর্যন্ত অংশে সড়কের দু’পাশের কাজ বেশি অনিয়ম করা হয়েছে।
ডাকবাংলা এলাকার ওবায়দুর রহমান জানান, চলমান কাজে এমন সীমাহীন অনিয়ম দেখে আমরা বাধা নিষেধ করিলে ঠিকাদারের লোকজন তাদের কথায় কর্ণপাত না করে তারা উল্টো নানা ধরণের হুমকি-ধামকি ও মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তরিঘড়ি ভাবে দায়সারা কাজ করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ তুলিপ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় কাজে এত অনিয়ম হচ্ছে। জনস্বার্থে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও মাটি পরিবর্তন করে মানসম্পন্ন ইটের খোয়া দিয়ে পুনরায় কাজ সম্পন্ন করা উচিৎ । অন্যথায় সড়কটি অল্প দিনেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এব্যাপারে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আক্তার এর সঙ্গে দফায় দফায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।