বগুড়ায় ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া ভন্ড জ্বিনের বাদশা মহিদুল গ্রেফতার

শিমন আহম্মেদ বাদল

জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ অভিযানে ভন্ড জ্বিনের বাদশা পরিচয়ে ও অলৌকিক ক্ষমতার ভান করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ বিভিন্ন নারী ও পুরুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূল হোতা ভন্ড জ্বিনের বাদশা মহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা।
গত (৪ নভেম্বর) বগুড়া’র শাহজাহানপু্র উপজেলার ফুলতলা’র বাসিন্দা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার (অবঃ) মোঃ মোমিনুর রহমান বাদী হয়ে মহিদুল ইসলামসহ ৪ জনকে বিবাদী করে সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করে।
এই মামলার প্রেক্ষিতে সোনাতলা উপজেলার রানিরপাড়া গ্রামের তোজাম আকন্দের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, মামলার ঘটনার কিছুদিন পুর্বে মহিদুল ইসলামের সাথে মহাস্থান এলাকায় ইসলামী জলসায় পরিচয় হয় বাদীর। সেই সুবাদে তাদেরমধ্যে কথা বার্তা হতো। বাদী প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৭/০৯/২০২৫ ইং তারিখ আছরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হয়। আরো ৬ জনসহ বাদী গত ০৭/০৯/২৫ ইং তারিখে মহিদুলের বাড়িতে জলসায় যায়। পরের দিন বিবাদীগণ খাবারের সাথে মেডিসিন-ক্যামিকাল অথবা ঝাঁড়ফুক দিয়ে অস্বাভাবিক অবস্থায় রাখে যাহাতে বাদী কোন ধরনের যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন। বাদীর আত্মীয় স্বজন সবাই বাদীকে ফোন করলে আজ আসবো, কাল আসবো করে প্রায় ৭ দিন অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে এই ৭ দিনসহ বিভিন্ন সময়ে বিবাদীগণ বাদীর নিকট হতে নগদে ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে বিবাদীগণ হাতিয়ে নেয়। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে সোনাতলা থানার মামলা নং-০২ তাং-০৪/১২/২৫ খ্রিঃ ধারা-৪২০/৩৮৬/৩৪/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত মামলা রুজুর পর জেলা গোয়েন্দা শাখা বগুড়ার অফিসার এসআই নিরস্ত্র মোঃ আরিফুল ইসলাম-২ এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম বিবাদী মহিদুল ইসলাম এর বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করেন এবং তার নিকট হতে ০২টি কথিত হাড়, ০২ সুরমা দানী,০৩ লাল কাপুর, ০১টি আতর, ০২টি তাবিজ, ০৩টুকরা সাদা কাপুর, ০৩টি তজমি ছোট বড়, ০৫টি আগর বাতি ও কালো সুতা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিবাদী স্বীকার করে যে, তিনি বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে কবিরাজী চিকিৎসা প্রদানসহ অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত।
গ্রেফতারকৃত মহিদুল ইসলামকে আজ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।



