সাঘাটায় ১১ টি অবৈধ ইটভাটায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ! স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় এক ডজনের মত অবৈধ ইটভাটা চলছে নির্দ্বিধায়। এসব ভাটার কোনোটিরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন। অবৈধভাবে নেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, আর সেই সংযোগ ব্যবহার করেই দিনে-রাতে চলছে ইট পোড়ানো ও মাটি কাটা। ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও কৃষিজমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়Ñবিশেষ করে কচুয়া,কামালেরপাড়া, ঘুড়িদহ, বোনারপাড়া ইউনিয়নে একের পর এক গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ইটভাটা। বেশিরভাগ ভাটা চলছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায়। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতাও রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ইট পোড়ানোর সময় গোটা এলাকায় ধোঁয়া আর কালো ধুলায় শ্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়া হয়।”
পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ভাটা পরিচালনা করা আইনত দÐনীয় অপরাধ হলেও, প্রশাসনের ভ‚মিকা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়রা বলছেন, অভিযান হয় মাঝে মাঝে, কিন্তু কিছুদিন পর আবারও আগের মতো ভাটা চালু হয়ে যায়। গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জালাল উদ্দিন, অবৈধ ভাটাগুলোতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, সংযোগ নেয়ার পরে এখানে এসেছি, একারণে এবিষয়ে অবগত ছিলাম না। এখন সংযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো: আল কামাহ তমাল বলেন, “অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তবে এলাকাবাসীর প্রশ্নÑবারবার অভিযান হলেও কেন বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ ভাটা? প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ না আসা পর্যন্ত সাঘাটার পরিবেশ রক্ষা যে সম্ভব নয়, তা বলছেন স্থানীয় সচেতন মহল।



