সাঘাটায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত

জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা( গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গার ২০ লাখ টাকা মূলের কাঠের গাছ বিক্রির অভিযোগের ঘটনা সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তার পৃথক তদন্তে সরকারি জায়গার মূল্যমান গাছ কর্তনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
সাঘাটা উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, চরাঞ্চলের সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থল তদন্তে ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে ওই গাছগুলি নিজের বলে তিনি দাবি করেছেন। পরবর্তীতে হলদিয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তার খগেন্দ্র নাথ সরকার জানান,উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) দায়িত্ব দেন। সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর নির্দেশ অনুযায়ী আমি ৬ অক্টোবর ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করি। তদন্ত করে কর্তনকৃত গাছগুলি সরকারি জায়গায় ছিলো বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি মৌজায় ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত দাগ নং- ৫৭, জমি ৫৪.৭১ একর, উক্ত দাগে আনুমানিক ৩০ বছর আগে সরকারি ওই জমিতে সরকারিভাবে ৪০টি রেইন্ট্রিকড়াই গাছ রোপন করা হয় । বর্তমানে প্রতিটি গাছের আনুমানিক মূল্য ৬০,০০০/- হতে ৬৫,০০০/- টাকা । উক্ত গাছ গুলি স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বন বিভাগ কিংবা সরকারি কর্মকর্তাগণের অনুমতি ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এলাকায় প্রভাবখাটিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকা মূল্যের কাঠের গাছগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন । এতে স্থানীয়রা বাঁধা-নিষেধ করতে গেলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তাঁর লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দায়িত্বরত উপসহকারি ভুমি কর্মকতার নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে কোনো কাজ না হওয়ায় তারা সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ।