কুকুর ও বেওয়ারিশ পশু-পাখিদের তৃষ্ণা নিবারণে বাদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ইকবাল কবির লেমন
খরতাপে পুড়ছে দেশ। প্রচণ্ড গরমে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। পিচঢালা পথের পিচগুলোও গরম সহ্য করতে না পেরে গলে যাচ্ছে। আবাদী জমি পানির অভাবে বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে। প্রকৃতির এমন খেয়ালিপনায় খেই হারিয়ে ফেলেছে মানুষ, গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগিসহ বেওয়ারিশ প্রাণিকূল। স্বস্তির ঠাই খুঁজছে সকলে, খুঁজছে এক চুমুক ঠাণ্ডা পানি। বিষয়গুলো অনুধাবন করে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিকূলের সেবায় এগিয়ে এসেছে আমাদের সমাজেরই মানবিক কিছু মানুষ। তাঁরা প্রচ- রোদকে উপেক্ষা করেও সেবার ব্রত নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, খুঁজে ফিরছে অস্বস্তিতে থাকা প্রাণিদের। তেমনি একজন মানবিক মানুষ , সাংবাদিক-সোস্যাল নেটওয়ার্কার (উপজেলা প্রতিনিধি-দৈনিক উত্তরের দর্পণ, স্টাফ রিপোর্টার-বগুড়া বার্তা) বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শিমন আহম্মেদ বাদল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রচ- দাবদাহ শুরু হলে তিনি সোনাতলা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে অসহায় মানুষদের খাওয়ানো শুরু করেন শরবত। সোনাতলায় এখন বিষয়টি সর্বমহলে প্রশংসিত। একই কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সম্প্রতি তিনি শুরু করেছেন কুকুর,ছাগল-ভেড়াসহ বেওয়ারিশ প্রাণিদের তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা। এ লক্ষ্যে তিনি কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন এলাকায় স্থাপন করছেন পানির পাত্র। আর কুকুরসহ অন্যান্য পশু-পাখিও নাগালের মধ্যে পানি পেয়ে নিবারণ করছে পানির পিপাসা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজকর্মী শামীম হোসেন সুজনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘বাদলের এধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের আশাবাদী করে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এরকম মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করা।’
শিমন আহম্মেদ বাদলের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, ‘যতদিন রবে দেহে প্রাণ ততদিন চলবে এমন কাজ।’