জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা, গাইবান্ধা
চার মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিধবা চামুলী। চামুলী বেগম স্বামীকে হারিয়ে চারটি মেয়ে সন্তান নিয়ে বড় অসহায় হয়ে পড়েন। সন্তানদের মুখে অন্ন দিতে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তিনি। মোছাঃ চামুলী বেগম উপজেলার সোনাতলা ইউনিয়নের রানীরপাড়া গ্রামের মৃত সাজু মিয়ার স্ত্রী। ৪ মেয়ে সহ ৬ সদস্যের সংসার ছিলো চামেলীর। আবাদি জমি না থাকায় ঢাকায় মেঘনা কোম্পানিতে ছোট চাকুরি করতেন তার স্বামী সাজু মিয়া । চাকুরির বেতনে কোনো রকমে সংসার চলতো চামুলীর। হঠাৎ একদিন কাম্পানিতে কাজ করতে গিয়ে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান স্বামী সাজু মিয়া। স্বামীর মৃত্যুর অমহায় চামূলী চার কন্যা সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন । এরই মাঝে আবার থাকার ভালো বাস স্থান
নেই, সামান্য বৃষ্টিতেই ভাঙ্গা চাল দিয়ে পানি পড়ে ঘরে। এদিকে রোজগারের কোনো অবলম্বন নেই। অভাবের তাড়নায় চার মেয়ের মা-চামুলী বেগম কোনো কুলকিনারা না পেয়ে অবশেষে সন্তানদের আহার যোগাতে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে শুরু করেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পান তাই দিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে চলে চামুলীর কষ্টের সংসার। দিনের পর দিন গড়িয়ে চামুলীর সেই ছোট্ট মেয়েরা বড় হয়ে এখন বিয়ের উপযুক্ত। এমনিতেই স্বামীহীন দুঃখ-কষ্টের সংসার তার ওপর আবার মেয়েদের বিয়ের নিয়ে মহা সঙ্কট ও উৎকন্ঠায় পড়েছেন চামেলী। কিভাবে সংসার চলবে, আর কিভাবে মেয়েদের বিয়ে দেবেন এ দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই বিধবা চামুলীর। এ সংকটে বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের হাতবাড়ানোর জন্য আকুতি জানিয়েছেন বিধবা চামুলী বেগম।