বইমেলায় পাওয়া যাবে ড. আজাদুর রহমান এর কাব্যগ্রন্থ ‘পথটাকে সোজা করে ধরুন আমি হাটছি’

বগুড়া বার্তা ডেস্ক
অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ ২৮৫ নম্বর সৃজন স্টলে পাওয়া যাবে কবি-বিজ্ঞানী ও লালন গবেষক ড. আজাদুর রহমান এর কাব্যগ্রন্থ ‘পথটাকে সোজা করে ধরুন আমি হাটছি’।
ড. আজাদুর রহমান এর জন্ম ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার কলেজপাড়া, গড়ফতেপুরে। সোনাতলা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, পাইলট হাইস্কুল এবং সরকারি নাজির আখতার কলেজ থেকে যথাক্রমে প্রাইমারি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের প্রাণ রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশুনা শেষ করে তিনি ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারে গবেষক হিসেবে যোগ দেন। বছরকাল গবেষনার পর তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বছর দুয়েক বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে জাপান সরকারের মনবুশো স্কলারশিপ নিয়ে কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যান জেনেটিক্স‘র উপর পিএইচডি করতে যান এবং কোর্সের মাঝামাঝি হঠাৎ করেই দেশে ফিরে বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ক্যাডারে (২১তম বিসিএস) যোগ দেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মেহেরপুর-এ সহকারি কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তিকালে তিনি দিনাজপুরের বিরল উপজেলা এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার উপজেলা নির্বাহি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ নিয়ে পিএচডি করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংস কলেজ লন্ডন, যুক্তরাজ্যে গমন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়-ড্রাগ ডিসকভারি অব ক্যান্সার। বর্তমানে তিনি যুগ্ম সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ রেফারেল ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট (বিআরআইসিএম) এর মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
কাজের সাথে ড. আজাদুর রহমান পুরোদমে লেখালেখি করেন। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর সাহিত্য পাতায় তিনি নিয়মিত গল্প, প্রবন্ধ এবং ফিচার লেখেন। সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ফকির লালনের উপর। পথটাকে সোজা করে ধরুন আমি হাটছি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও তাঁর প্রকাশিত বইগুলো হলো-লালন মত লালন পথ (২০১০, অন্বেষা প্রকাশনী), সাধুর বাজার, লালনের গান (অন্বেষা প্রকাশনী), বাংলার মেঠো পথে(২০১১ জয়তী প্রকাশনী), গল্প সমগ্র-অন্য কোনওখানে (২০১৪, সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী, কোলকাতা)।