সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
গত ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার রাতে সোনাতলার কৃতী ফুটবলার ও ফুটবল কোচ রাকিব হোসেন জুয়েল তুচ্ছ ঘটনায় বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়েছেন। সোনাতলা উপজেলার পৌরসভাধীন গড়চৈতন্যপুর নতুন ব্রিজের পাশে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত রাকিবকে তাৎক্ষণিকভাবে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার্থে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কৃতী ফুটবলার রাকিব হোসেন জুয়েলকে মারপিটের ঘটনায় বুধবার রাতেই সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাকিব হোসেন জুয়েলের পিতা মোঃ আব্দুল লতিফ মোল্লা। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, সোনাতলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও কোচ রাকিব হোসেন জুয়েল ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সোনাতলা স্টেডিয়ামে ফুটবল একাডেমির ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ করানোকালে স্টেডিয়ামে উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে মোঃ আল-আমিন (২২) একটি মেয়ের সাথে গল্প করছিলো। দীর্ঘ সময় ওই
ছেলে-মেয়েদের গল্পের বিষয়টি রাকিবের দৃষ্টিকটু মনে হওয়ায় পরিচিত আল-আমিনকে ভালোভাবে বুঝিয়ে অন্যত্র সরে যেতে বলেন রাকিব হোসেন জুয়েল। এতে আল-আমিন রাকিব হোসেন জুয়েলের প্রতি চড়াও হয়। পরবর্তিতে স্থানীয় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ-মিমাংসা করে দেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাকিব হোসেন জুয়েল অটোভ্যানযোগে গড়চৈতন্যপুরে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় গড়চৈন্যপুর নতুন ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তার উপর প্যেঁছতেই আল-আমিন অপর সহযোগী পাপ্পু মিয়াসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে নিয়ে হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি, হ্যামারসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতে জুয়েলের উপর মারপিট শুরু করে। এতে রাকিব হোসেন জুয়েল গুরুতর আহত হয়। তারা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন্নবীর সাথে কথা বললে তিনি অবিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।