স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদল সদস্য রাশেদকে মারধর করে হত্যার অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা ওজেনা বেগম বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সোনাতলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাকুল্লা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবিরকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আরও ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে বগুড়ার সোনাতলা পাকুল্লা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের কারণে এলাকার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ পরিস্থিতিতে, ২ ফেব্রুয়ারি, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষককে তার পদ থেকে অপসারণের দাবি জানায়। মানববন্ধন চলাকালীন, পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল
হান্নান বাটালু এবং তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ চালায় এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় রাশেদ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে আব্দুল হামিদ রাজমিস্ত্রীর বাড়িতে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেখানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। স্থানীয়রা রাশেদকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি, তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে, তাকে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে পথে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে, তাকে পুনরায় বগুড়া মফিজ পাগলার মোড়ে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি, অবস্থা গুরুতর হলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন নবী বলেন, "নিহতের মা মামলা দায়ের করেছেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।"