সাঘাটায় ব্রীজ নির্মাণ কাজে স্থবিরতা: ভোগান্তিতে জনসাধারণ

জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে থমকে গেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বলিয়ারবেড় বাঙালি নদীর ওপর নির্মাণাধীন পিসি গার্ডর ব্রীজটির নির্মাণ কাজ। ফলে নদীর দু’পারের জনসাধারণকে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি ।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে বলিয়ারবেড় কামালের পাড়া-ফলিয়া রাস্তায় বাঙালি নদীর ওপর সেতু অভাবে বর্ষা মৌসুমে নদীর দু’পারের মানুষকে খেঁয়ার নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেটে নদী পাড়ি দিতে হয়। নদী পারাপার হতে গিয়ে স্কুল ও কলেজ গামী শিক্ষক- শিক্ষার্থী, হাট-বাজারের ব্যবসায়ী সহ জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পাশাপাশি পরিবহন সমস্যায় উৎপাদিত শষ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত এলাকার কৃষকরা। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে বলিয়ারবেড় নামক স্থানে বাঙালি নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবি করে করে আসছে এলাকার জনসাধারণ।
সাঘাটা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানা যায়, এলাকাবাসি দাবি পুরণে বিগত ২০২০ সালে এ নদী ওপর ব্রীজ নির্মাণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রীজ নির্মাণ কাজে দরপত্র আহবান করা হয়। ব্রীজটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় বগুড়াস্থ মইনউদ্দিন বাশি লিমিটেড “রাজ কনষ্টাকশন” নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান । বিগত ২০২০ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি’র মাধ্যমে ব্রীজটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। বিগত ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ব্রীজটির কেবল মাত্র ৪০ ভাগ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ব্রীজটি নির্মাণ কাজ খুব ধীরগতি চলছে। এত বড় ব্রীজের নির্মাণে ৫/ ৬ জন শ্রমিক কাজ করে তাও আবার কখনো চলে আবার কখনো কাজ বন্ধ থাকে । কিছু বলাও যায়না তারা স্থানীয়দের কথায় অপরাধ মনে করতে পারে! এজন্য এলাকাবাসি ঠিকাদারের লোকজনকে কিছু বলেনা। এমনি ভাবে ঠিকাদারের গাফলতির কারণে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মইন উদ্দিন বাশি রাজ কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিদাদার আলহাজ্ব বাবু মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এলাকাবাসির সাথে ব্রীজের জায়গা নিয়ে জটিলতার কারণে সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে কিছু দিন আগে স্থানীয়দের সাথে চলমান জটিলতা নিরসন হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে এ সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করা হবে। সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী নয়ন রায় কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, বলিয়ারবেড় ব্রীজের কাজ ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে । এখনো ৬০ ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। তবে বর্তমানে দ্রুতই কাজ চলছে, এভাবে কাজ হলে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ করতে বেশি দে্রি হবে না।