সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সোনাতলার পৌর এলাকার শাহবাজপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে হালচাষের সময় উভয় পক্ষে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় উভয়পক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোনাতলা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে শাহবাজপুর এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমিতে মোস্তাফিজার রহমান প্রধান পক্ষের লোকজন হালচাষ করতে যায়। এ সময় তাদের উপর হামলা করে শাহবাজপুর গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন- নিয়ামতের বাইগুনি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান প্রধান, নজরুল ইসলাম, নাদু বেপারীর ছেলে জহুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী গোলাপী বেগম, মমিনের স্ত্রী রোমানা বেগম, নজরুল ইসলামের স্ত্রী নেহার বানু, ও মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে সুমন। একই ঘটনায় সোনাতলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হওয়া অপর পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন শাহবাজপুর গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আনারুল ও শাহীন এবং মৃত তবিবর রহমানের নাতি আশিক। এদের মধ্যে মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী গোলাপি বেগম ও মৃত তবিবর রহমানের ছেলে শাহিন আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার
জন্য তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় প্রেরণ করেন। আহত মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, ১৯৪১ সালে আমার দাদার কবলাকৃত ২৯ শতক জমি আমরা ৮১ বছর ধরে চাষাবাদ করি। কবলাকৃত ২৯ শতক বাদে ১৯৪৩ সালে গেন্ডুলা বেপারীর ৩ একর ৩শতক জমি নিলাম হয়। প্রতিপক্ষরা ৭ ধারা মামলা করলে তাতে আমরা রায় পাই। আজকে জমিতে পানি দিয়ে হালচাষ করতে গেলে অপর পক্ষের লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করলে আমরা আহত হই। পরে খবর পেয়ে আমাদের বাড়ির মহিলারা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে আহত করে। অন্যপক্ষের আহত আনারুল ইসলাম জানান, আমার দাদার বাবা গেন্দা বেপারীর জমি নিলাম হলে আমার বাবা মন্তেজার রহমান তৎকালীন জমিদারের নিকট থেকে ক্রয় করেন। কিন্তু উক্ত জমি এখনো মোস্তাফিজার রহমানদের দখলে আছে। ঐ জমির ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান আছে। আজ তারা চাষাবাদ করার লক্ষ্যে হালচাষ করতে গেলে আমরা বাঁধা দেই। এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার বাবু কুমার সাহা জানান, ‘ঘটনাটি অবগত হয়েছি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’