নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৭ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার গোসাইবাড়ি গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীকে প্রধান আসামি করে অপর ৮ জনকে নামীয় ও ২০/৩০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, একমাস পূর্বে মামলার বাদীর ছেলে এরশাদুল তার শ্বশুরবাড়ি ভেলুরপাড়া গ্রামে মোটরসাইকেল দিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তার মধ্যে চেয়ারম্যান এর ভাতিজা রিফাত মোটরসাইকেল নিয়ে সামনে জোরে হর্ণ বাজানসহ এদিক সেদিক এলোমেলোভাবে মোটরসাইকেল চালাতে থাকে। গাড়ি থামিয়ে তাকে এ ধরনের আচরণের বিষয় জানতে চাইলে সে বলে আমি চেয়ারম্যানের ভাতিজা , বেশি কথা বললে জানে মেরে ফেলবো । এ অবস্থায় সেখান থেকে এরশাদ কেটে পরে। এরই জের ধরে গত ৩ মার্চ রাতে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী, ভাতিজা রিফাত
ও তার লোকজন লোহার রড, চাপাতি, শাবল, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ঠিক তারাবি নামাজ এর সময় ভেলুরপাড়া থেকে গোসাইবাড়ি গ্রামে বাদীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। বাধা দিতে গেলে বাড়িতে থাকা বাদীর স্ত্রী ফুলবি বেগমকে রাম দা দিয়ে চোট মারলে কানে লেগে কেটে যখম হয়। গালাগালি পারতে পারতে চলে যাওয়ার সময় মসজিদে তারাবি নামাজের মুসল্লিরদের কানে গালাগালি শব্দ গেলে ডাকাত পরেছে বলে মূসল্লিরা চিৎকার দিয়ে ধাওয়া করলে প্রাণ ভয়ে তারা দৌড়ে পালাতে গিয়ে গাছের সাথে লেগে আঘাত প্রাপ্ত হয় বলে মামলায় উল্লেখ করে। সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন , ওই মারপিটের ঘটনায় চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে ৫ মার্চ একটি মামলা করেন। প্রতিপক্ষরা আজ কাউন্টার মামলা দায়ের করেন।