সোনাতলায় মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

লতিফুল ইসলাম
প্রতিকী ছবি
সোনাতলায় মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করা ( পরে মারা যাওয়া) সোনাতলার পশ্চিম তেকানী গ্রামের আলপনা খাতুনের স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুকুল হোসেন আকন্দ। তাঁর লিখিত অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
বরাবর,
সাংবাদিকবৃন্দ
সোনাতলা , বগুড়া।
বিষয়: সোনাতলা উপজেলার মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ প্রসঙ্গে।
জনাব,
নিবেদন এই যে, আমি মোঃ মুকুল হোসেন আকন্দ, পিতা-মৃত ইজার উদ্দীন আকন্দ, গ্রাম-পশ্চিম তেকানী, ইউনিয়ন-মধুপুর, উপজেলা- সোনাতলা, জেলা-বগুড়া। আমার গর্ভবতী স্ত্রী মোছাঃ আলপনা খাতুনকে সিজারের উদ্দেশ্যে গত ৩ জুন, ২০২৪ তারিখে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি করাই। গত ৩ জুন, ২০২৪ তারিখেই তার সিজার করে ওই ক্লিনিকে কর্তব্যরত ডা. নাদিয়া । ভুল অপারেশনের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে মোছাঃ আলপনা খাতুন। কয়েকদিন মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে চিকিৎসার পরে ব্যর্থ হয়ে তাকে বগুড়ার রফাতউল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ জুন রাত ১২ টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী আলপনা খাতুনের মৃত্যুর জন্য মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের মালিক আবু সুফিয়ান পলিন ও অপারেশন করা ডাক্তার নাদিয়া পারভীন দায়ী ।
এধরণের অপচিকিৎসা প্রদানকারী মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক, ক্লিনিক এর মালিক আবু সুফিয়ান পলিন ও এবং অপরেশন করা ডাক্তার নাদিয়ার অব্যবস্থাপনা ও অপচিকিৎসার বিষয়টি পত্রিকায় তুলে ধরে সোনাতলা উপজেলার সাধারণ চিকিৎসা প্রত্যাশীদের সুচিকিৎসা প্রদানের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে আপনার/আপনাদের মর্জি হয়।
এ বিষয়ে মেডিটেক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারি আবু সুফিয়ান পলিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে কোন ভুল চি্কিৎসা হয়নি।’
সিজার করা ডা. নাদিয়া জানান, ‘আমার অপারেশনের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল। অন্য কোন সমস্যার কারণে রোগীটি মারা যেতে পারে। ‘
মৃত আলপনা খাতুনের স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুকুল হোসেন জানিয়ছেন, ‘এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’