আবু বকর সিদ্দিক বক্কর, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকায় আজ সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ের পাকশী ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। আজ (২৫ আগস্ট) সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালনো হয়েছে। অভিযান সান্তাহার স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে রেলক্রসিংসহ অন্যান্য এলাকার প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয় । অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন রেলওেয়ের পাকশী বিভাগর বিভাগীয় ভূ-সম্পতি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। তাঁকে সহযোগিতা করেন বগুড়া জেলার সহকারি কমিশনার তানজিমুল ইসলাম, আদমদীঘি উপজেলা কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা। সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার খাদিজা বেগম, কানুনগা মনোয়ার হোসেন। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলা এই উচ্ছেদ অভিযানে সেনাবাহিনী, রেলওয়ে থানা পুলিশ, সান্তাহার
টাউন ফাঁড়ি পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগসহ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক লোকজন অংশ গ্রহণ করেন। এদিকে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে শহরের মানুষের মধ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা কয়েক জন বলেন, ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযানের আয়োজন করা হলেও সেটা ছিলো লোক দেখানো মাত্র। কারণ রেলক্রসিংয়ের ভিতরে থাকা অবৈধ ব্যবসায়ীরা গতকাল রাতেই তাদের সকল স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছে। এ কারণে সেখানে কোনো কিছু উচ্ছেদ করতে হয়নি। পাশাপশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনেক অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো কিন্তু উচ্ছেদ করা হয়নি। তাছাড়া কয়েক দিন পর সবকিছু আবার আগের মতোই ঠিকঠাক হয়ে যাবে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।