জয়নুল আবেদীন,সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ৫৭ মণ্ডপে নেয়া হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। কারিগররা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরিতে। ইতোমধ্যেই প্রতিমারগুলোর মাটির আস্তরের কাজ শেষ হয়েছে । আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিমায় রংতুলির কাজ। কে কত ভালো প্রতিমা তৈরি করে ভক্তদের হৃদয় ছুঁতে পারেন তারই প্রতিযোগিতা চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পূজা, তাই দম ফেলানোর সময় পাচ্ছেন না কারিগররা। একাধিক মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করছেন একজন কারিগর । সাঘাটা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে মন্ডপে প্রতিমা তৈরি ও পূজার কাজ চলছে। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোক না থাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শারদীয় দুর্গাপূজা হচ্ছে না ৭ নং হলদিয়া ইউনিয়নে । এবার উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে মোট ৫৭টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পদুমশহর ৪টি, ভরতখালীতে ৭টি,সাঘাটায় ৯টি,মুক্তিনগর ৩টি,কচুয়ায় ৩টি, ঘুড়িদহ ১২টি,জুমারবাড়ী ৪টি,কামালেরপাড়ায় ২টি ও বোনারপাড়া ইউনিয়নে ১৩টি মন্ডপে শারদীয় দুগোৎসবের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে কারিগর এনে প্রতিমা
তৈরির কাজ সম্পন্ন করছে পূজা মণ্ডপ কমিটি। আজ শুক্রবার থেকেই রঙ-তুলির কাজ শুরু করা হচ্ছে। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে প্রতিমাগুলো। তাই শেষ সময়ে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের। উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের পবনতাইড় পালপাড়া পূজামণ্ডপের প্রতিমা কারিগর দিলিপ কুমার বলেন, তিনি এবার ১৩টি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি করছেন। তার সাথে দুইজন সহযোগী রয়েছেন। প্রতিটি মণ্ডপ কমিটির কাছ থেকে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা মুজুরি পাবেন তিনি। দম ফেলানোর সময় পর্যন্ত তার হাতে নেই বলে তিনি জানান। সাঘাটা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি গৌতম কুমার চন্দ জানান, আগামী ৯ অক্টোবর হতে পূজা শুরু হচ্ছে । এবার উপজেলায় ৫৭টি মন্ডপে দুর্গোৎসব উদ্যাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী জানান, এবার পূজা মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সদস্য রণজিত বকশি সূর্য্য জানান, পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি শেষের দিকে। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কিছুটা ভয় ও সংশয় আছে। প্রত্যকটি মণ্ডপে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।