জয়নুল আবেদীন,সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটায় ১২ টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে সাঘাটা থানা পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগার পটল নামক চরের পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাঁশবনের ভিতর থেকে পুলিশ এসব চোরাই গরু উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন সাঘাটায় থানায় প্রেসব্রেফিং চোরাই গরু উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রেসব্রেফিংয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার গরু চোরেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চরাঞ্চলকে নিরাপদ আশ্রায় কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়ে চোরেরা চরাঞ্চলের কাঁশবনের ভিতর চোরাই গরু সংরক্ষন করছিলো। গত শুক্রবার থানায় গোপনে সংবাদ আসে,উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগারপটল নামক চরে চোরেরা কাঁশবনের ভিতর চোরাই গরু এনে রেখেছে। গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দ্দেশে সাঘাটা থানা পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় জনসাধারণ সহ চরের কাশবনের
ভিতর অভিযান চালিয়ে কাঁশবনের ভিতরে কাশের ছাউনি ছাপড়ার নিচে অজ্ঞাত কতিপয় চোর ও চোরাই গরু দেখতে পায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই গুরুগুলো রেখে চোরেরা কাঁশবনের মধ্য দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছোট-বড় সহ ১২ টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি- সার্কেল) বলেন, বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি করে চরা এর মধ্যে ৪ টি গরু উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের যাদুরতাইড় গ্রামের মোঃ শফিউর রহমান তার নিজের বলে সনাক্ত করেছেন। বাকী ৮টি গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপযুক্ত প্রমানসহ মালিক পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতের মাধ্যমে মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী সব থানায় বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। দুই জন চোরের নামও সনাক্ত করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ৪ গরুর মালিক শফিউর রহমানকে বাদী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।