ধুনটে অপরিপক্ব তরমুজ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

রাকিবুল ইসলাম , ধুনট (বগুড়া)
বগুড়ার ধুনটে বাজারে উঠতে শুরু করেছে অপরিপক্ক তরমুজ। রঙ, ধরন বা স্বাদ কোন দিক দিয়েই তরমুজ গুলো বিক্রির উপযুক্ত নয়। তবুও রমজান মাসে লাভের আশায় বাজারে অপরিপক্ক তরমুজের যোগান দিচ্ছেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার ধুনট বাজারের প্রধান সড়কের উপর বহিরাগত একটি মিনি ট্রাকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায়। যার প্রতি পিস তরমুজের মুল্য ছিল ১৫০ টাকা। কিন্তু বাজারের স্থায়ী কিছু ফলের দোকানে পিস নয়, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে দাম হাকছেন দোকানিরা। শুক্রবার উপজেলার সোনামুয়া হাটে অপরিপক্ব তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায় ৮০ থেকে ৯০টাকা কেজি দরে। ছোট ও মাঝারি আকারের তরমুজ বেশিরভাগই অপরিপক্ব ও হালকা লালচে। আধা পাকা এসব তরমুজ কাটার পর কোনটি রং লাল দেখা যাচ্ছে, কোনটি আবার সাদার মিশ্রন।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ধুনটের হাটে তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। রমজান শুরুর প্রথম দিনেই কেজিতে বেড়েছে ৩০টাকা। রমজানের আগে অনেকটাই পিস হিসেবে বিক্রি হলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। রমজান আসলেই দোকানিরা ইচ্ছামতো ফলের দাম বাড়িয়ে দেন। এমনটাই মন্তব্য করেন ক্রেতাগন। আব্দুল লতিফ নামের এক গৃহস্থ ক্রেতা বলেন, তরমুজের মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। তাই তরমুজ ভালো না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারপরও রোজার জন্য কিনতে এসেছি। তবে দামটা গত বছরের তুলনায় বেশি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আয়নাল হক নামের এক ফল বিক্রেতা জানান, আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি তরমুজের ওজন ২ কেজি থেকে প্রায় ৪কেজি পর্যন্ত। গত বছর এ সময় একই আকারের তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। আর কিছুদিন পর বাজারে উঠবে পরিপক্ব তরমুজ। তখন তরমুজের আকারও যেমন বড় হবে তেমনি দামটাও কমতে পারে।
রমজানকে ঘিরে বাড়তি লাভের আশায় অনেক কৃষক যেমন পরিপক্ব হওয়ার আগেই তরমুজ বিক্রি করছে, তেমনি পাইকারাও ক্রয় করতে সুযোগ পাচ্ছে। বাজার মনিটরিং করে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।