ভারতের বিপক্ষে বগুড়ার হৃদয়ের লড়াকু ইনিংসে বাংলাদেশের সম্মানজনক টোটাল

রবিউল ইসলাম শাকিল
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের বীরোচিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে লাল-সবুজের দল। উদ্বোধনী ব্যাটার সৌম্য সরকার, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, ওপেনার তানজিদ তামিম ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম দ্রুত ফিরে যান। পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ৩৯ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই কোনো রান না করেই মোহাম্মদ শামির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সৌম্য। এরপর হর্ষিত রানার ওভারে শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক শান্ত, তিনিও শূন্য রানে আউট হন। কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার চেষ্টা করলেও ২৪ রানের জুটি গড়ার পর মিরাজ ১০ বলে ৫ রান করে শামির বলে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েন।
নবম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের টানা দুই বলে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় বলে ২৫ বলে ২৫ রান করা তানজিদ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন, আর পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন মুশফিক।
এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর ছয় নম্বর উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। তারা গড়েন ১৫৪ রানের জুটি, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এই পজিশনে সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বোচার ও জাস্টিন কেম্পের ১৩১ রানের রেকর্ড ভেঙে দেন এই দুই ব্যাটার।
জাকের আলী ৬৮ রান করে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হলে ভাঙে এই দুর্দান্ত জুটি। এরপর রিশাদ হোসেন ১২ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তবে ম্যাচে হৃদয়ের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রাম্প, যার কারণে তিনি বেশ কয়েকবার মাঠেই কষ্ট পেতে থাকেন।
তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে হৃদয় ক্রাম্পের মধ্যেও লড়াই চালিয়ে যান এবং ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২২৮ রানে অলআউট হয়, ফলে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২৯ রানের।