পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন সোনাতলার মেধাবীমুখ মাহাবুর

ইকবাল কবির লেমন
বগুড়া’র সোনাতলার মেধাবীমুখ মাহাবুর রহমান প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কৃতিত্ব দেখিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে যোগদান করলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তাঁর প্রথম কর্মদিবস পালন করেন।
মেধাবীমুখ মাহাবুরের রয়েছে দরিদ্রতাকে জয়ের গল্প। রিক্সাচালক বাবার আয়ে অতিকষ্টে পড়াশুনা চালিয়েছেন উপজেলার পৌর এলাকার গড়চৈতন্যপুরের বাসিন্দা মাহাবুর রহমান। মা-বাবা ও তিন ভাই মিলে মাহাবুরের পরিবার। ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী হওয়ায় অভাব থাকা সত্বেও রিক্সাচালক বাবা আব্দুল মান্নান পিছুপা হননি মাহাবুরকে পড়াতে। সোনাতলা আমলিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাতলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি নাজির আখতার কলেজে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি (অনার্স) রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন মাহাবুর। ২০২২ সালে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। মাত্র একবছর পরেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মতো মহান ও গৌরবজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করলেন। ইতোমধ্যেই রয়েল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি-ইংল্যান্ড থেকে, এলসিভিআর নেদারল্যান্ড থেকে, পলিমার ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকা থেকে মাহাবুর রহমানের বেশ কিছু গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জার্নালেও।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক মাহাবুর রহমান জানান, ‘রিক্সাচালক বাবার কষ্টে অর্জিত টাকায় আমি পড়াশুনা করেছি। পড়াশনা চালাতে গিয়ে আমি টিউশনি করেছি। এছাড়াও সোনাতলার অনেকেই আমাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। আমি তাঁেদর প্রত্যেকের কাছেই কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি, যাঁদের অনুপ্রেরণায় আমি পথ চলতে শিখেছি। আমি রসায়ন সংক্রান্ত গবেষণায় ও বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই এবং দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় থাকতে চাই।’