ধুনটে কৃষক মজুরীর তুলনায় দাম নেই ধানের

রাকিবুল ইসলাম , ধুনট (বগুড়া):
ধুনটে কৃষক মজুরীর তুলনায় ধানের দাম নেই বললেই চলে। চলতি মৌসুমে যে ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা প্রতিমন। গত বছর তার মূল্য ছিলো ৯শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা। দামে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কৃষক মজুরী বেশি হওয়ায় ধান বিক্রি করে খুব একটা লাভবান হতে পারছেনা প্রান্তিক চাষিরা।
উপজেলর নিমগাছী ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কৃষক সামসুল হক জানান, আমি সুফল লতা জাতের আধা শুকনা ধান বাজারে এনেছি। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম কিছুটা বেশি পেলেও কৃষান মজুরী বেশি হওয়ায় খুব একটা লাভবান হচ্ছিনা। চাপড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম জানান, কাটারী জাতের ধান ১২শ টাকা প্রতিমন বিক্রি হলেও পোষাতে পারছিনা কৃষক মজুরী বৃদ্ধির কারণে। তবে এবার হিরা জাতের ধানের চাহিদা অনেকটাই কম। ওজনে বৃদ্ধি হলেও ধানের জাতটি মোটা হওয়ায় পাইকারদের চাহিদা নেই বললেই চলে এমনটাই মন্তব্য করেন নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের চাষী সিহাবুল ইসলাম।
রবিউল হাসান নামের পাইকারী ধান ব্যবসায়ী জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ধানের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর যে ধান প্রতি মন ১১শ ৫০ টাকা ছিলো, চলতি বছরে সেই ধান ১২শ টাকা প্রতি মন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের প্রস্তুতি চলছে। যারা ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক অনলাইনে তাদের আবেদন চলমান রয়েছে। চলতি মৌসুমে ১০৪০ মেট্রিকটন ধান ক্রয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করা যায় কিছু দিনের মধ্যেই ধান ক্রয়ের শুভ উদ্বোধন হবে।