ধুনটে ঈদে কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ৬৫ হাজার গবাদি পশু

রাকিবুল ইসলাম , ধুনট (বগুড়া):
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বগুড়ার ধুনটে কোরবানির জন্য প্রায় ৬৫ হাজার পশু প্রস্তুত রেখেছেন অন্তত সাড়ে ৪ হাজার খামারি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গরু ২৩ হাজার ৬২২, ছাগল ৩৮ হাজার ৭৩০, মহিষ ১৯৮ ও ভেড়া ২ হাজার ৪২২টি সহ উপজেলা জুড়ে মোট ৬৪ হাজার ৯৬২টি পশু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ঈদ কে সামনে রেখে উপজেলায় এবার মোট চাহিদা ৬২ হাজার ২২০টি। চাহিদা পুরন হওয়ার পরেও ২ হাজার ৭৪২টি অতিরিক্ত পশু রয়েছে।
উপজেলা জুড়ে সাপ্তাহিক বার হিসেবে হাতে গোনা ৫ থেকে ৬টি গবাদিপশুর হাট বসে থাকে। কোরবানির হাটের জন্য উপজেলার গবাদিপশুর পাশাপাশি বাইরের এলাকা থেকেও অনেক পশু বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে এবারের কোরবানির হাটে পর্যাপ্ত পশু উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা। ধুনট উপজেলার খামারিদের অনেকেই যেমন অন্য এলাকায় পশু বিক্রি করতে যাবেন, তেমনি অন্য এলাকা থেকেও এখানে পশু বিক্রির জন্য আসবে। সব মিলিয়ে কোরবানির চাহিদা অনুযায়ী পশুর ঘাটতি থাকার কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দামের কারণে পশু পালনে খরচ বর্তমানে বেশি হচ্ছে। সে অনুযায়ী প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা। এদিকে কোরবানির পশুর দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সংকটে পড়বেন মধ্যবিত্ত কোরবানির দাতারা। সব মিলে চলতি বছরের কোরবানির পশু প্রস্তুতকারী ও কোরবানি দিতে আগ্রহীরা কেউ নেই স্বস্তিতে।
খামারিরা বলছেন, চলতি বছর পশুখাদ্যের দাম ও শ্রমিকের মজুরিসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনের খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে বাজারে কোরবানির পশুর দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। উপজেলার পাঁচথুপি গ্রামের এক খামারি জানান, চলতি বছর পশুর খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়েছে। এবার কোরবানিতে পশুর ভালো দাম না পেলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ধুনট উপজেলা অতিরিক্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান জানান, উপজেলায় প্রায় ৬৫ হাজার গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। খামারি ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লার গৃহপালিত গবাদিপশু গুলোও বিক্রি হবে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে উপজেলার চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করা যায়। বগুড়া জেলা জুড়ে বিক্রির উপযোগী পশু ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫, মোট চাহিদা ৭ লাখ ৫ হাজার ২৬০ এবং অতিরিক্ত রয়েছে ২৯ হাজার ১৫৫ টি পশু।