তুর্কিমেনিস্তানকে ৭ গোলে হারিয়ে এশিয়া কাপ বাছাই পর্ব শেষ করল বাংলার বাঘিনীরা


রবিউল ইসলাম শাকিল,
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটেই প্রতিপক্ষকে যেন ঘূর্ণিঝড়ের মুখে ফেলেছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। গোলের বন্যায় ভেসে যাচ্ছিল তুর্কমেনিস্তানের রক্ষণভাগ। প্রথমার্ধেই সাতবার বল জাল ছুঁয়েছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। দর্শকদের মাঝে তখন একটাই প্রশ্ন—এই ম্যাচ কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়?
তবে বিরতির পর সেই প্রত্যাশা আর রূপ নেয়নি বাস্তবে। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তাতেও খুব একটা হতাশ হওয়ার কিছু নেই, কারণ আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এএফসি এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মেয়েদের অংশগ্রহণ।
শনিবার (২৯ জুন) মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। এছাড়া একটি করে গোল করেন মনিকা চাকমা, তহুরা খাতুন ও স্বপ্না রানী। ম্যাচের শুরুতে শামসুন্নাহারের ক্রস থেকে স্বপ্নার নিখুঁত শটে গোলের সূচনা হয়। এরপর যেন একের পর এক গোল উৎসব।
শামসুন্নাহারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৬ ও ১৩ মিনিটে আসে দুইটি গোল। মনিকা ১৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান, পরের দুই মিনিটে গোল করেন ঋতুপর্ণা ও তহুরা। আর ২০ মিনিটে আবারও আলো ছড়ান মনিকা-ঋতুপর্ণা জুটি। শর্ট কর্নার থেকে নেওয়া মনিকার পাসে ঋতুপর্ণার বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপে সপ্তমবারের মতো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় কিছুটা গতি হারালেও দলের জয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ৭-০ ব্যবধানের দাপুটে জয় নিয়েই এবারের বাছাই পর্ব শেষ করল পিটার বাটলারের দল।
মিয়ানমারকে হারিয়ে যখনই নিশ্চিত হয়েছিল এশিয়ান কাপে সুযোগ, তখনই এই ম্যাচ রূপ নেয় নিয়ম রক্ষার লড়াইয়ে। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা দেখিয়ে দিল, প্রতিটি ম্যাচেই তাদের লক্ষ্য থাকে জয়। এবার সেই জয় শুধু স্কোরলাইনে নয়, ইতিহাসেও জায়গা করে নিল।