বগুড়ার খবরজাতীয়

জুনিয়র ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পেল সোনাতলার রবিউল ইসলাম শাকিল

জুনিয়র ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পেল সোনাতলার রবিউল ইসলাম শাকিল

‘টুইম্বল’ এর উদ্যোগে এবং ‘কিডলন বেবি কেয়ার প্রোডাক্টস’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কিডলন জুনিয়র ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। ৩ মে ২০২৫ তারিখে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাইকৃত শিশু-কিশোরদের সম্মানিত করা হবে।

এবারের আসরে মোট ১২টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ইভেন্টগুলো হলো:

শিশু সাংবাদিকতা, সামাজিক অবদান, স্বেচ্ছাসেবক, পরিবেশগত কার্যক্রম, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, চিত্রাঙ্কন, সেরা শিক্ষক, স্বাস্থ্য সেবা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি,উদ্যোক্তা, সেরা স্কুল, মডেল/শিল্পী।

সারাদেশ থেকে পাওয়া বিপুলসংখ্যক আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে তিনজন করে মনোনীত করা হয়েছে। প্রতিটি ইভেন্টে একজন করে বিজয়ীকে প্রদান করা হবে এই সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড।

এ বছর “সামাজিক অবদান” ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন বগুড়ার সোনাতলার রবিউল ইসলাম শাকিল। তার সঙ্গে এই ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছেন সাইফান রাফান এবং মাহমুদুর রহমান নাঈম।

করোনাকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গঠিত ‘করোনা কুইক রেসপন্স টিম’-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে রবিউল ইসলাম শাকিল ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ১৪ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বন্ধু সামাজিক সংগঠন’। শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যায় ত্রাণ বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

রবিউল বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিশোর-কিশোরী ক্লাবে আবৃত্তি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবৃত্তির পাশাপাশি বিতর্ক, সঞ্চালনা, দাবা ও ক্যারাম প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে তুলেছেন। তার শিক্ষার্থীরা উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সাফল্যের সাক্ষর রাখছে। শুধু তাই নয়, বিতর্ক প্রশিক্ষকের ভূমিকায় রবিউল সোনাতলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪৭০ শিক্ষার্থীকে বিতর্ক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি ‘স্টুডেন্ট ব্লাড অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ’-এর সোনাতলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও রক্তদানের মতো মহৎ কাজে যুক্ত ছিলেন।

রবিউল বই পড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহী। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা বই থেকে বেশ কয়েকজন কিশোর-কিশোরীকে বই পড়ার সুযোগ দেন এবং মাসশেষে বই আলোচনা সভার আয়োজন করেন। পাশাপাশি সমাজের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় কলাম লিখে ইতোমধ্যেই নিজেকে উদীয়মান লেখক হিসেবেও পরিচিত করেছেন।

সমাজ বদলের অঙ্গীকারে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে রবিউল ইসলাম শাকিলের নিরলস প্রচেষ্টা তাকে জুনিয়র ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের সম্মানজনক মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। এখন অপেক্ষা কেবল বিজয়ীর মুকুট অর্জনের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button