জনতার বাধায় স্থগিত হলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাতলা জোনাল অফিস স্থানান্তর প্রক্রিয়া

ইকবাল কবির লেমন
জনতার বাধায় দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাতলা জোনাল অফিস স্থানান্তর প্রক্রিয়া। এতে পল্লী বিদ্যুতের সুবিধাভোগী স্থানীয় জনগণ কিছুটা স্বস্তি পেলেও এখনও স্থানান্তর আশঙ্কায় রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি সোনাতলা পৌর সদরের পোস্ট অফিস সংলগ্ন বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন সোনাতলা জোনাল অফিসটি পৌর সদরের সোনাতলা-বালুয়াহাট সড়কে একটি ভবনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। সোনাতলা পৌর সদরের মূল লোকালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অবস্থান হলে প্রতিনিয়ত সেখানে যাতায়াতে পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহকদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবেÑএমন আশঙ্কায় স্থানীয় জনগণ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরে বাঁধা দেয়। পরে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ ১৫ দিন পরে ১৬ জানুয়ারি পুনরায় পল্লীবিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের চেষ্টা হলে স্থানীয় জনগণ পুনরায় বাঁধা দেয়। তাদের বাঁধায় এ দফাতেও থেমে যায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তর প্রক্রিয়া। পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দাবিÑ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসটি হয় বর্তমান স্থানে নচেৎ পৌর সদরের খুবই নিকটবর্তী স্থানে রাখা হোক যাতে সাধারণ মানুষকে দূরে যাতায়াত করে বাড়তি খরচ বহন করতে না হয়। ১৬ জানুয়ারি সকালে এ দাবিতে সাধারণ জনগণের সাথে মিলিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন সোনাতলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খান নিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাকুল ইসলাম রাজ্জাক, সেলিম রেজা বাবলা, বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম মন্ডল শেফা, যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক পাভেল আহম্মেদ প্রমূখ।
এ বিষয়ে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সোনাতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আমরা অফিসটি স্থানান্তর করতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় জনসাধারণের বাঁধার মুখে আমরা সিদ্ধান্তটি স্থগিত করতে বাধ্য হলাম। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টি অবগত করেছি।’