জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা না হলেও গাইবান্ধা-৫(সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আগেই মাঠে নেমেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পক্ষে সর্মথক আদায়ের লক্ষে নিজেদের কর্মী সমর্থদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি,এলাকায় এলাকায় গণসংযোগ, বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি সহ জনসেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা মধ্য দিয়ে ব্যস্তদিন কাটছেন। এ আসনে এবার বিএনপির দলীয় প্রতীক ‘ধানের শীষ’ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ৭ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতারা সবাই ক্লিন ইমেজের অধিকারী হিসেবে মনে করছে দলের স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। এবার ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নাহিদুজ্জামান নিশাদ । তিনি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এ আসনে ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। নাহিদুজ্জামান নিশাদ বলেন, গত ২০২৪ এর নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কারণে এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেছেছে । এখন দল এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সারা পাচ্ছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে জনমত জরিপ অনুযায়ী দল তাঁকেই মনোনয়ন দেবে বলে তিনি আশা করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন জেলা বিএনপির আরেক সহ-সভাপতি ফারুক আলম সরকার। তিনি ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। সে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত তাঁর পক্ষে গণজোয়ার লক্ষ করা গেলেও দিনের ভোট রাতে হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সে নির্বাচনে তাঁকে হারতে হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানের কারণে অনেক জেল ,জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে । দলের জন্য অতীতে তাঁর অবদনের কথা চিন্তা করে দল এবারও তাঁকে মূল্যায়ন করবে তিনি আশা করছেন। দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শিল্পপতি নাজেমুল ইসলাম প্রধান নয়ন । তিনি বলেন, আমি দলের একজন সিনিয়র কর্মী হিসেবে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান দলের হাইকমান্ড তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, দলের জন্য দীর্ঘদিনের ত্যাগই আমার সাহস এবং শক্তি। অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে দল তাঁকেই মূল্যায়ন করবে তিনি আশা করছেন। সাবেক ছাত্র দল নেতা মঈনুল ইসলাম শামীম এবার ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী । তিনি যমুনা নদীর ভায়াবহ ভাঙ্গনের হাত থেকে সাঘাটা রক্ষা কাজে অগ্রণী ভুমিকা রেখে ছিলেন । একারণে সবার আগে এ আসনের তিনি ভোটের দাবিদার বলে সচেতন মহল মনে করেন। জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি সেবামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক স্বপন শেখ বলেন, ফারুক আলম সরকার দলের দুর্দিনে শক্তভাবে সাঘাটা- ফুলছড়ি, দুই উপজেলা বিএনপির হাল ধরে ছিলেন। দলের জন্য তাঁকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এর পরেও তিনি থেমে থাকেননি অতীত বর্তমান বিবেচনা করে তাঁকে মুল্যায়ন করবে তার বিশ^াস। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঈন প্রধান লাবু বলেন, নাহিদুজ্জামান নিশাদ এলাকায় এখন পরিচিত মুখ সবার কাছে প্রিয় ও গ্রহন যোগ্য নেতা। এ আসনে দলের বিজয় নিশ্চিত করতে এই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিকল্প নেই। ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম নান্নু বলেন, জেল জুলুম নির্যাতনের ভয়ে ফুলছড়িতে সব নেতাই গাঁ ঢাকা দিয়ে ছিলেন। সে সময় বিএনপির জেলে থাকা সব নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখতেন আলহাজ নাহিদুজ্জামান নিশাদ। বিএনপির দুর্দিনে তাঁর এই অবদানের মুল্যায়ন করার জন্য আমরা স্থানীয় নেতা কর্মীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে দাবি জানাবো।