জয়নুল আবেদীন,সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
হেমন্তকাল, প্রকৃতিতে এখন চলছে ঋতুবদলের আয়োজন। এরপরই আসছে শীতকাল। প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগামনী বার্তা। এখন উত্তরের জেলা গুলোতে শীতের আগমন ঘটছে। এরই মধ্যেই গাইবান্ধার সাঘাটায় সকাল-সন্ধ্যা সাদা-কালো কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে হিম বাতাস। ভোরের ঘন কুয়াশা দেখে মনে হয় সাদা-কালো চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে পুরোপ্রকৃতি । চারদিকে তাকালে কুয়াশায় দুচোখের দৃষ্টি দুরে যায় না। সারাদিনের রোদের তাপ আর গরম শেষে সন্ধ্যা নামার পর থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে ঘন কুয়াশা। আর শীতকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের পিঠাপুলির দোকানগুলো। উপজেলার ডাকবালা এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান (৪৩) বলেন, ভোরে রাস্তায় হাটা চলা করলেই কুয়াশায় মাথার চুল ভিজে যায়, কিছুটা ঠান্ডাও লাগে। ঝাড়াবর্ষা গ্রামের বাসিন্দা অমিতন বেওয়া (৬৮) বলেন, রাতে একটু একটু ঠাণ্ডা লাগে কয়েকদিন ধরে ল্যাপ গায়ে দিয়ে
থাকি। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন,আমাদের এলাকায় শীতের আগমন ঘটে গেছে। শীত এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের, আবার আনন্দেরও। শীতে শাকসবজির বেশি আবাদ হয় বাজারে স্বস্তা পাওয়া যায়। আবার কয়েকদিন পরেই নতুন ধান কাটা শুরু হবে। কৃষক বাদশা (৫০) বলেন, এবার আগাম শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়ছে। সুজালপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমান (৪৫) বলেন, শীত নামার আগেই ভাপাপিঠা বিক্রি শুরু করছি। শীতে সকাল-সন্ধ্যা লোকজন পিঠা বেশ মজা করে খায়, বেচা-বিক্রিও ভালো হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান বলেন, সাঘাটা উত্তরাঞ্চলের উপজেলা । এখানে শীত আগে আসে, পরে যায়। এখন আমরা সকালে ও রাতে শীত অনুভব করছি। দিনের তাপমাত্রারও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। শীতকাল মানুষের জন্য কিছুটা কষ্টের হলেও কৃষকের জন্য উপকারী সময়। শীতকালে রবি ফসল ভালো হয় যা থেকে কৃষকের অধিক আয় হয়।